[ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫] ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেছেন মারিয়া রেহমান। তাঁর এই নিয়োগ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘ যাত্রায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং তরুণ প্রজন্ম নিয়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে মারিয়া রেহমানের। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগদানের পর থেকে মারিয়া রেহমান বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও করাচির লাইব্রেরিগুলোতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পুনরায় চালু করা। পূর্বে, মারিয়া রেহমান পাঞ্জাব অঞ্চলের এরিয়া ডিরেক্টর হিসেবে এবং সর্বশেষ ব্রিটিশ কাউন্সিল পাকিস্তানের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মারিয়া রেহমান ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের শিক্ষা, ইংরেজি, শিল্প ও তরুণদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোগের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবেন। এর পাশাপাশি উদ্ভাবনী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধিতেও কাজ করবেন তিনি।
নতুন এই দায়িত্ব সম্পর্কে মারিয়া রেহমান বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শিক্ষা, শিল্প ও তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়। আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটির সঙ্গে মিলে তরুণদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করতে চাই, যা আমি সবসময় আন্তরিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি।
তাঁর আগমন উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর ব্রিটিশ কাউন্সিল এক আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার, শিক্ষাঙ্গন, গবেষণা সংস্থা থেকে বিভিন্ন প্রতিনিধি এবং সমাজকর্মীসহ আরও অনেক পৃষ্ঠপোষক উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের বিদায়ী ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্সকে আন্তরিকভাবে বিদায় জানানো হয়। তিনি গত ৩ বছরে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির এসব উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনা বিকাশ ও বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।